এফিলিয়েটেড মার্কেটিংয়ে অর্থ উপার্জন
এফিলিয়েটেড মার্কেটিং হতে পারে অর্থ উপার্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম।
এফিলিয়েটেড মার্কেটিং
এফিলিয়েটেড মার্কেটিং হলো এক ধরণের অনলাইন বিক্রয় কৌশল যেখানে আপনি অন্যের ব্যবসা বা পণ্য প্রচার করে কমিশন আয় করতে পারেন। একজন এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে, আপনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য পণ্য প্রচার করতে পারেন এবং প্রতিবার কেউ যখন সেই পণ্য ক্রয় করবে, আপনি তার একটি কমিশন পাবেনএটি যেভাবে কাজ করে
প্রথমে, আপনাকে একটি এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করতে হবে। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব এফিলিয়েট প্রোগ্রাম থাকে, এবং আপনি তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে সহজেই এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করতে পারেন
একবার আপনি অনুমোদিত হয়ে গেলে, আপনি আপনার প্রচারের জন্য ইউনিক এফিলিয়েট লিঙ্ক পাবেন। এই লিঙ্কগুলোতে একটি ট্র্যাকিং কোড থাকে যা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বুঝতে সাহায্য করে যে বিক্রয়টি আপনার প্রচারের ফলাফল।
এখন আপনার কাজ হলো আপনার এফিলিয়েট লিঙ্ক যতটা সম্ভব প্রচার করা। আপনি আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে এটি করতে পারেন।
এফিলিয়েটেড মার্কেটিংয়ের সুবিধা:
এফিলিয়েটেড মার্কেটিং শুরু করতে তেমন কোন খরচ বা বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না । আপনার শুধুমাত্র একটি ইন্টারনেট সংযোগ এবং একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ (ঐচ্ছিক) প্রয়োজন।
আপনার পণ্য স্টক করার বা ডেলিভারি করার দায়িত্ব নেই। আপনার কাজ শুধুমাত্র পণ্য প্রচার করা এবং বিক্রয় শেষে কমিশন বুঝে নেওয়া।
এসকল সুবিধা ছারাও এফিলিয়েটেড মার্কেটিং আপনার নিজের সময়ে কাজ করার স্বাধীনতা দেয়। আপনি যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করতে পারেন।
এ ছাড়াও এফিলিয়েটেড মার্কেটিং আপনাকে মার্কেটিং, SEO, এবং কন্টেন্ট রাইটিং এর মতো নতুন দক্ষতা শিখতে সাহায্য করবে।
আপনি যে বিষয়গুলিতে আগ্রহী সেগুলি প্রচার করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
এফিলিয়েটেড মার্কেটিং আপনার নিজস্ব অনলাইন ব্যবসা তৈরি করার একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে।
এফিলিয়েটেড মার্কেটিংয়ের অসুবিধা
এফিলিয়েটেড মার্কেটিং একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার । সফল হতে হলে আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং ক্রমাগত কাজ করতে হবে
অনেক গুল সুবিধার মধ্যে কিছু অসুবিধাও লক্ষ করা যায় যেমনঃ
প্রতিযোগিতা: এফিলিয়েটেড মার্কেটিং একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার। সফল হতে হলে আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা হতে হবে এবং আপনার নিজস্ব ইউনিক মূল্য প্রস্তাব করতে হবে।
আয়ের পরিমাণ অনিশ্চিত: আপনার আয়ের পরিমাণ আপনার প্রচারের সাফল্যের উপর নির্ভর করে। আপনি যদি পর্যাপ্ত বিক্রয় করতে না পারেন, তাহলে আপনি খুব বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না।
স্ক্যামের ঝুঁকি: কিছু স্ক্যাম এফিলিয়েট প্রোগ্রাম থাকে যা আপনার টাকা বা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে। এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করার আগে সাবধানে গবেষণা করা উচিত
মনে রাহবেন এটিতে সফল হতে হলে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম এবং সময় দিতে হবে। এটি একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার। সফল হতে হলে আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা হতে হবে। সব ক্ষেত্রে আয়ের পরিমান নিশ্চিত থাকলেও এই মার্কেটিং এ আপনার আয়ের পরিমাণ আপনার প্রচারের উপর নির্ভর করবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে আপনার সিধান্ত নিতে হবে আপনি কোন ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন । আপনার যে বিষয়গুলিতে জ্ঞান বেশি এবং আগ্রহী সেগুলির উপর ফোকাস করার চেষ্টা করুন । আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ আকর্শনীয় করার চেষ্টা করুন ।
এমন কিছু প্রোগ্রাম নির্বাচন করুন যা আপনার নিস এবং আপনার শ্রোতাদের সাথে প্রাসঙ্গিক।সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং, এবং অন্যান্য সোসাল মিডিয়া চ্যানেলগুলি ব্যবহার করে আপনার এফিলেটেড মার্কেটিং করতে পারেন
সর্বপরি এফিলিয়েটেড মার্কেটিং এ আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়োতে পাড়বেন তবে তার জন্য আপ্নাকে অবশ্যই প্রচুর ধৈর্য এবং পরিশ্রমী হতে হবে
কোন মন্তব্য নেই