Header Ads

Header ADS

ইনফ্লয়েন্সার মার্কেটিং কি?

 

ইনফ্লয়েন্সার মার্কেটিং কি?

ইনফ্লয়েন্সার মার্কেটিং

ইনফ্লয়েন্সার মার্কেটিং (influencer marketing) হচ্ছে এমন এক ধরনের মার্কেটিং পদ্ধতি যেখানে ব্যাক্তিগত পরিচিতি কে কাজে লাগিয়ে কোনো একটি পন্য, সেবা, বা প্রতিষ্ঠানের প্রচার বা প্রমোশন করা হয়। বর্তমান সময়ে ইনফ্লয়েন্সার মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ইনফ্লয়েন্সার বলতে আমরা এমন সব মানুষদের কে বুঝি যারা অন্যদেরকে মোটিভেট বা প্রভাবিত করতে পারে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে অনেক বেশি ফ্যান ফলোয়ার্স যাদের থাকে তারাই সাধারণত ইনফ্লয়েন্সার হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইনফ্লয়েন্স মার্কেটার এর প্রকারভেদ

ইনফ্লয়েন্সার মার্কেটিং করার জন্য সাধারণত জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লয়েন্সারদের হায়ার করা হয় এবং তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ও সার্ভিসের মার্কেটিং করা হয়। এক্ষেত্রে একজন ইনফ্লয়েন্সার এর অনেক ফ্যান ফলোয়ার্স থাকার কারণে তারা অনেক মানুষকে একটি পণ্য কেনার ব্যাপারে প্রভাবিত করতে পারে। এক্ষেত্রে কোম্পানির সাথে ইনফ্লয়েন্সার এর একটি চুক্তি হয় যেখানে তিনি তার প্রতিটি পোস্টের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ করতে পারেন অথবা প্রোডাক্ট সেল এর উপর একটি নির্দিষ্ট পার্সেন্টেজ রাখতে পারেন। ফ্যান ফলোয়ার্স দের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে আবার ইনফ্লয়েন্সার মার্কেটারদের শ্রেণীবিভাগ করা হয়েছে।

  • ন্যানো ইনফ্লয়েন্স মার্কেটার : যাদের ফ্যান ফলোয়ার্সের সংখ্যা ১ থেকে ১০ হাজারের মধ্যে
  • মাইক্রো ইনফ্লয়েন্স মার্কেটার :যাদের ফ্যান ফলোয়ার্সের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজারের মধ্যে
  • মিড টায়ার ইনফ্লয়েন্স মার্কেটার: যাদের ফ্যান ফলোয়ার্সের সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখের মধ্যে
  • ম্যাক্রো ইনফ্লয়েন্স মার্কেটার: যাদের ফ্যান ফলোয়ার্সের সংখ্যা ৫ লাখ থেকে ১০ লাখের মধ্যে
  • মেগা ইনফ্লয়েন্স মার্কেটার: যাদের ফ্যান ফলোয়ার্সের সংখ্যা ১০ লাখের উপরে

এছাড়াও, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর অনেক গুরুত্ব আছেঃ

বিশ্বস্ততা ও ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি : ইনফ্লয়েন্সারদের ইনফ্লুয়েন্সের প্রভাবে নতুন কোম্পানিসমূহ বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারে এবং ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি করতে পারে।

লক্ষ্যমাত্রা অর্জন: ইনফ্লয়েন্সারদের মাধ্যমে কোম্পানিসমূহ নিজেদের লক্ষমাত্রা পুরণ করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও তাদের নতুন পণ্যগুলো নির্দিষ্ট কাস্টমারদের কাছে সহজেই পৌঁছে দিতে পারে।

পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি করা: ইনফ্লয়েন্সার মার্কেটিং এর প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি করা। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্র্যান্ড বিভিন্ন ধরনের ইনফ্লয়েন্সারদের সাথে বিভিন্ন রকমের চুক্তির মাধ্যমে তাদের পণ্যের প্রচার এবং প্রচারণা করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি করে থাকে।

ইনফ্লয়েন্স মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ

অন্যান্য মার্কেটিং পদ্ধতিতে তুলনায় ইনফ্লয়েন্সার মার্কেটিং পদ্ধতিটি অনেক সহজ হওয়ার কারণে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য বা সেবা নির্দিষ্ট মানুষদের কাছে খুব সহজেই পৌঁছে দিতে পারে। যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে এই ধরনের মার্কেটিং করা হয় সেহেতু খুব সহজেই কাঙ্খিত মানুষজন ইনফ্লয়েন্স হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে লোকাল মার্কেটের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস গুলোতেও এ ধরনের কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আপনার ক্যারিয়ার গরতে চান তাহলে মার্কেটিং বেছে নিতে পারেন, কেননা দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলছে।

একজন সফল ইনফ্লয়েন্সার মার্কেটার হওয়ার টিপস

আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনফ্লয়েন্সার হিসেবে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে অনেক বেশি ফ্যান ফলোয়ার্স জোগাড় করতে হবে। এটি অবশ্যই রাতারাতি সম্ভব না। এজন্য আপনাকে ধৈর্য সহকারে আগাতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, ফ্যান ফলোয়ার্স বাড়ানোর জন্য অশ্লীল কনটেন্ট বা হারাম বিষয়গুলোকে নিয়ে কাজ করা যাবে না। নিচে সহজে ইনফ্লয়েন্সার হওয়ার জন্য কিছু টিপস দেওয়া হল:

১। সব ধরনের সোসাল মিডিয়াতে এ্যাকাউন্ট তৈরী করা

আপনি যদি একজন ইনফ্লয়েন্স মার্কেটার হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এবং সেখানে ফ্যান ফলোয়ার্স বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে। এজন্য জনপ্রিয় সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে একাউন্ট তৈরি করে ফলোয়ার বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে |

২। এনগেজিং কনটেন্ট তৈরি করা

আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রোফাইল তৈরি করলেন আর সবাই আপনাকে ফলো করবে এটি ভাবা বোকামি। এজন্য আপনাকে অবশ্যই প্রতিনিয়ত ভালো মানের কনটেন্ট দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে হবে। কারণ মানুষ আপনাকে ফলো করবে আপনার কাজ দেখে। এক্ষেত্রে চেষ্টা করতে হবে যখন কোনো কনটেন্ট তৈরি করবেন সেটি যেন অনেক বেশি এনগেজিং হয়। মানুষ যেনো সেখানে কমেন্ট করে, লাইক দেয় এবং শেয়ার করে। এক্ষেত্রে কনটেন্ট বিভিন্ন রকমের হতে পারে, সেটা ভিডিও হতে পারে, পোস্ট হতে পারে, হতে পারে।

ছবি।

৩। ফলোয়ারদের সাথে এনগেজ হওয়া

সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনি একটি কনটেন্ট দেওয়ার পর সেখানে বিভিন্ন ধরনের কমেন্ট বা রিএকশন আসবে। অনেকে আপনার কনটেন্টটি শেয়ার করবে। যারা আপনার কনটেন্টে কমেন্ট করবে তাদেরকে রিপ্লাই দিতে হবে। এজন্য সব ধরনের মেসেজ ও কমেন্ট এর রিপ্লাই দিয়ে ফলোয়ারদের সাথে এনগেজমেন্ট বাড়াতে হবে।

৪। ইনফ্লয়েন্সারদের সাথে সম্পর্ক তৈরী করা

আপনি যখন ইনফ্লয়েন্সার হওয়ার জন্য চেষ্টা করবেন তখন অন্যান্য ইনফ্লয়েন্সার দের সাথে সম্পর্ক তৈরী করার চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি তার অডিয়েন্সের কাছে খুব সহজে পৌছাতে পারবেন।

৫। অ্যানালিটিকস দেখে কন্টেন্ট স্ট্র্যাটিজি তৈরি করা

আপনি যদি শুধু একের পর এক কনটেন্ট দিতে থাকেন কিন্তু অ্যানালিটিক্স দেখে পারফরম্যান্স ট্রাক না করেন তাহলে কন্টাক্ট স্ট্র্যাটিজি উন্নত করতে পারবেন না। আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে কোন ধরনের কনটেন্টে বেশি এনগেজমেন্ট হচ্ছে।

৬। সঠিকভাবে হ্যাশট্যাগ এর ব্যবহার করা

সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে হ্যাশট্যাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটি ব্যবহারের ফলে পোস্টের ভিজিবিলিটি বৃদ্ধি পায়। অর্গানিক ভাবে অনেক মানুষের কাছে পোস্টটি পৌঁছার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এজন্য প্রতিটি কনটেন্ট এর নিচে সঠিকভাবে হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করে পোস্টের রিচ বাড়াতে পারেন।

৭। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে একটিভ থাকা ৷

আপনি যদি একজন ভালো মানের ইনফ্লয়েন্সার হতে চান তাহলে আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে একটিভ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় কন্টেন্টের মাধ্যমে আপনার ফলোয়ার কে ধরে রাখতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ধরনের ট্রেন্ড গুলোকে ভালোভাবে ফলো করে সেই অনুপাতে কনটেন্ট তৈরি করা যেতে পারে। সর্বোপরি অনলাইনে আপনাকে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.