Header Ads

Header ADS

ইউটিউবিং | ইউটিউব মার্কেটিং


ইউটিউবিং | ইউটিউব মার্কেটিং

 ইউটিউবিং 


ইউটিউব মার্কেটিং: কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ভিডিও আকারে ইউটিউব-এর মাধ্যমে কোন পণ্য বা সেবার যে প্রচরনা করে থাকে, তাকে ইউটিউব মার্কেটিং বলে। বর্তমানে ফেসবুকের পাশাপাশি মানুষ যে জিনিসটাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সেটা হল ইউটিউব। ইন্টারনেট ব্যবহার করেন অথচ ইউটিউব ব্যবহার করেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন। শিক্ষা, বিনোদন, খেলা, সংবাদ, প্রযুক্তি, সাজসজ্জা, রান্না ও ভ্রমণ থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের ভিডিও রয়েছে ইউটিউবে। ইউটিউব প্রতিনিয়িত যেভাবে শিক্ষা ও বিনোদনের এক অনন্য মাধ্যম হিসাবে পরিণত হচ্ছে,পণ্য বা সার্ভিস ভিডিওর মাধ্যমে দর্শকের মাঝে সহজে প্রচার বা মার্কেটিং করা যেতে পারে।

👉ইউটিউবার কেন হবেনঃ লক্ষাধিক ইউটিউবাররা শুধমাত্র ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার আয় করে নিচ্ছে ইউটিউব থেকে। ইউটিউব হল বিশ্বের সবথেকে বড় এবং জনপ্রিয়ও ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম।প্রতি মাসে প্রায় ২ বিলিয়নের সক্রিয় ব্যবহারকারী ইউটিউবে রয়েছে।

ইউটিউব চ্যানেল মান সম্পূর্ণও হিসাবে তৈরি করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু ঠিকঠাক চ্যানেল টি একবার তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে গেলে আপনাকে আর তেমন কষ্ট করতে হবেনা।ইউটিউব চ্যানেলটি হতে পারে আপনার টাকা উপার্জনের মাধম। নিয়মিত কোয়ালিটিফুল এবং মানসম্মত ভিডিও আপলোড দিতে হবে যার ধারাবাহিকতায় চ্যানেলটি অবশ্যই একদিন সফল হবে।

কিভাবে একজন সফল ইউটিউবার হবেন?

তাই, আমি আজ শেয়ার করব কিভাবে আপনি একজন সফল ইউটিউবার হতে পারবেন তার কিছু উপায়।

১। সঠিক কনটেন্ট নির্বাচন করুনঃ ইউটিউবে চ্যানেল গড়ার শুরুতেই বেছে নিতে হবে কী ধরনের ভিডিও থাকবে। শিক্ষামূলক, নিছক বিনোদন, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বা যেকোনো কিছুর পর্যালোচনার (রিভিউ) ভিডিও দেওয়া যেতে পারে। একজন ইউটিউবার বিভিন্ন ধরণের ঘটনা নিয়ে কাজ থাকে আবার কোন ইউটিউবার একটা মাত্র নিশ নিয়ে ভিডিও আপলোড করে থাকে। অনেকটা টিভিতে আলাদা সিনেমার চ্যানেল, খবরের চ্যানেল আর খেলার চ্যানেলের মতো। কাজের ক্ষেত্র বেছে নেওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, যাতে সে বিষয় থাকা অন্যান্য চ্যানেলগুলো থেকে নিজের চ্যানেলের কনটেন্ট যেন কিছুটা হলেও ভিন্ন হয়।

২। পরিপূর্ণ তথ্য প্রদানঃ সবসময় এমন ভিডিও বানানোর চেষ্টা করতে হবে, যে ভিডিও দেখলে ভিউয়ারস পরিপূর্ণ তথ্য পেয়ে থাকে। আপনি যে বিষয়ের উপর ভিডিও বানানোর কথা ভাবছেন, সেই

বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান নিয়ে প্রত্যেকটি ব্যাপারে বিবরণ দিয়ে ভিডিও তৈরি করতে হবে।যার ফলে যে ভিডিও দেখবে সে বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারনা পেয়ে যাবে।

৩। ভাইরাল টপিকের উপর ভিডিও তৈরি ক্রুনঃ প্রতিনিয়ত বেশ কিছু ভাইরাল টপিক থাকে, সে-সব ভাইরাল টপিকের উপর ইউটিউবে প্রচুর সার্চ হয়। সুতরাং সেই সময় যদি আপনি ইউটিউব ভাইরাল টপিকের উপর ভিডিও তৈরি করেন, তাহলে সহজেই মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারবেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এসব ভাইরাল টপিক যেন আপনার চ্যানেলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

৪। সরাসরি সম্প্রচার করুনঃ বিশেষ কিছু কনটেন্ট, যেমন গেইমিং, সাক্ষাৎকার বা ইভেন্টের ভিডিও সরাসরি সম্প্রচার করা যেতে পারে। গেইম লাইভ স্ট্রিম করার জন্য তেমন হার্ডওয়্যার প্রয়োজন না হলেও অন্তত মানসম্মত ওয়েবক্যাম এবং মাইক্রোফোন খুবই জরুরি। দর্শক শুধু গেইমই নয়, গেইমারকেও দেখতে এবং শুনতে চায়।

৫। ভিডিও এডিটর নির্বাচনঃ ভালো মানের এডিটিং ভিডিও আপনার ভিডিওকে জনপ্রিয়তা পেতে বেশ সহায়তা করবে। ভিডিও এডিটিংয়ের সময় সঠিক ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যোগ করতে হবে, অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে ফেলতে হবে, গুরুত্বপূর্ণ অংশ যোগ করা ইত্যাদি কাজ করার মাধ্যমে ভিডিওকে প্রাণবন্ত করে তুলতে হবে।

৬। স্যোশাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকুনঃ ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম প্রভৃতি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় থাকাটা জরুরী। কেননা এইসব সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিউয়ার এবং সাবস্ক্রাইবার নিয়ে আসা সম্ভব আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিতে। এছাড়া এসব সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার চ্যানেলের বা আপনার নিজের ব্রান্ড আইডেন্টি তৈরি হবে। ফলে আপনি দ্রুত সফলতা লাভ করতে পারবেন। তাই চেষ্টা করবেন আপনার চ্যানেলের নামে পেইজ এবং গ্রুপ তৈরি করে একটা সক্রিয় কমিউনিটি তৈরি করার।

৭।পূর্বপ্রস্তুতি নিনঃ ভিডিও সুন্দরভাবে তৈরি করতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে। কী বিষয়ে ভিডিওটি তৈরি করবেন, সেটি ঠিক করার পর কত লম্বা হবে, তা-ও নির্ধারণ করতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে ভিডিওটি থাকলে ভালো হয়। তবে শিক্ষামূলক বা লম্বা পর্যালোচনার জন্য সেটির দৈর্ঘ্য ২০ মিনিট পর্যন্ত হতে পারে।

৮। ইউটিউব স্টুডিওঃ প্রতিটি চ্যানেলের জন্য ইউটিউব ভিডিও আপলোড করার জন্য পেইজ দিয়ে থাকে। এখানে ভিডিও আপলোডের পর কিছু ছোটখাটো সম্পাদনা, ভিডিওর প্রিভিউ এবং থাম্বনেইল নির্ধারণ, চ্যানেলের বিবরণ, ভিডিওর বিবরণ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। প্রয়োজনে ভিডিও আপলোডের পর সেটি প্রকাশনার সময়ও নির্ধারণ করে শিডিউল তৈরি করা যায়। চ্যানেল গড়তে হলে অবশ্যই ভিডিওর টাইটেল, থাম্বনেইল এবং ট্যাগ হতে হবে আকর্ষণীয়। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি করে হলেও ভিডিও দিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে প্রতি সপ্তাহের নির্দিষ্ট সময়ে ভিডিও প্রকাশের। এতে করে আপনার চ্যানেলের প্রতি দর্শকদের একটা আস্থা তৈরি হবে। নির্দিষ্ট সময়ে আপনার চ্যানেলের নতুন ভিডিওর জন্য অপেক্ষা করে থাকবে ভক্ত-দর্শক।

৯। সতর্কতা অবলম্বনঃ আপনাকে অবশ্যই কপিরাইট ও কমিউনিটি গাইডলাইন মানতে হবে। এ নির্দেশনাগুলো না মানলে আপনার মনিটাইজেশন (আয়) বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এমনকি আপনার চ্যানেলটি বন্ধও হতে পারে। কপিরাইট ও কমিউনিটি গাইডলাইনের তিনটি স্ট্রাইক থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একেকটি স্ট্রাইকের জন্য ভিডিও মুছে যাওয়া, লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ হওয়া, ভিডিও আপলোড করতে না পারার মতো ঘটনা ঘটে। আর তৃতীয় স্ট্রাইকে চ্যানেল বন্ধ করা হয়। তবে আপনি যদি মনে করেন, আপনার কপিরাইট স্ট্রাইকটি ভুল করে দেওয়া হয়েছে—তাহলে কাউন্টার নোটিফিকেশন দিতে পারেন।
ইউটিউব মনিটাইজেশনঃ মনিটাইজেশন এমনই একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ভিডিও মনিটাইজ করে অর্থ উপার্জন করা যায়। ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জনের করতে হলে ইউটিউব মনিটাইজেশন ইনেবল করতে হয়। নতুন চ্যানেলে মনিটাইজেশন অপশন পাওয়া সম্ভব না। ইউটিউব ভিডিওটি আপলোড করার পর ভিডিওটি গুগল বিজ্ঞাপনের জন্য এনাবেল করা যাবে। এরজন্য ইউটিউব একাউন্টটিকে এডসেঞ্চ একাউণ্টের সাথে কানেক্ট করতে হবে। মনিটাইজেশন পেতে হলে চারটি শর্ত মেনে কাজ করতে হবে।

প্রথমত, চ্যানেলে কমপক্ষে দশ হাজার ভিউ হতে হবে, দ্বিতীয়ত, চ্যানেলে অবশ্যই চার হাজার ঘণ্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে, তৃতীয়ত, চ্যানেলে কমপক্ষে এক হাজার সাবস্ক্রাইব থাকতে হবে এবং চতুর্থ শর্ত হল উপরের তিনটি শর্ত অবশ্যই চ্যানেলটি খোলার এক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে। এ শর্তগুলো পূরণ করার পরে চ্যানেলটি মনিটাইজ করা যাবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.