ফাইভার এসইও এবং সাকসেস টিপস
ফাইভার এসইও এবং সাকসেস টিপস
🎯ফাইভার নিয়ে স্টাডি করতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সব জায়গায় একি জিনিস নানা ভাবে ঘুরিয়ে বলা হয়েছে। তাই সব টিপস ফলো করেও নতুনরা ভালো করতে পারে না। আবার, পুরানদের অনেকে আশানুরুপ সেল পায় না। আমি নিশ্চিত, আপনি নতুন কিছু খুজতেছেন আর এই ব্লগটি সেই সিক্রেট নিয়ে ই লেখা। ২০১৫ সাল থেকে ফাইভার এ কাজ করে যে অভিজ্ঞতা জমা হয়েছে সেটার ব্রেকডাউন এই ব্লগ, তাই পড়তে থাকুন-
টিপস নাম্বার ১ঃ
একাউন্ট সাজানঃ যদি একাউন্ট করে ফেলেন তাহলে অনেক তথ্য আর বদলানো যাবে না। তাই সে সব নিয়ে না ভেবে বাকী প্রফাইল সাজিয়ে ফেলুন। যে কোন একটা টার্গেট ক্যাটাগরিতে লিখুন তথ্যগুলো। (ওয়েল এটা জেনারেল টিপস)
টিপস নাম্বার ২ঃ
গিগ পাবলিশ করুনঃ নতুন একাউন্ট এ ৭টি গিগ দতে পারবেন আর সবগুলোই দিন। এই টিপস সবাই দেয় কিন্তু যেটা অন্যরা বলে না সেটা বলছি। একটা মুল গিগ দিন অনেক ভালো করে, অনেক রিসার্চ করে, গিগ ইমেজ খুভ ভালো করে ডিজাইন করে। গিগ ইমেজ আপলোড এর আগে, ইমেজ অফলাইন এসইও করুন। আর বাকী গিগ গুলো লাম-সাম ভাবে দিন শুধু মনে রাখবে গিগ এর ক্যাটাগরি যেন আলাদা হয় সব গুলোতে। গিগ অফলাইন এসইও করার ফলে ছবিটি গুগোল এ র্যাংক পাবে যেখান থেকে আলাদা ট্রাফিক ড্রাইভ হবে গিগ এ। আর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গিগ দেয়ায় রেগুলার বায়ার রিকোয়েস্ট এ অফার পাবেন যেটা থেকে সেল পাওয়া সম্ভব। আর, এপ্লাই করার সময় সেরা গিগ দিয়ে এপ্লাই করুন।
টিপস নাম্বার ৩ঃ
সারা দিন রাত অনলাইন এ থাকবেন নাঃ অনেকে মনে করে যত বেশী অনলাইন এ থাকা যায় তত বেশী সেল পাওয়া যায়! ফাইভা এলগরিদম অনুযায়ী যদি অনলাইন থাকেন তাহলে ফাইভার সার্চ এ আপনার গিগ প্রায়োরিটি দিবে স্বাভাবিক তবে এর উলটা দিকও আছে। অনলাইন এ দেখালে বায়ার মেসেজ দিয়ে রিপ্লাই আশা করবে আর আপনি যদি রিপ্লাই না দেন তাহলে বায়ার বাউন্স করবে। স্বাভাবিক ভাবে ভেবে দেখুন, কোন মানুষ কি ২৪ ঘন্টা কাজ করতে পারে? তাহলে, শুধু শুধু রাত দিন অনলাইন এ না থেকে, বা এডওয়ান্স দিয়ে অনলাইন না রেখে, শুধু মাত্র সন্ধ্যর পর থেকে মধ্যরাত এবং সকাল এর দিক অনলাইন থাকুন। বায়ার মেসেজ দিলে রিপ্লাই দিন। কাজ পাবেন।
টিপস নাম্বার ৪ঃ
গিগ প্রমোশনঃ অনেকে আছে যেখানে সেখানে গিগ এর লিংক শেয়ার করেন। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, লিংক শেয়ার করে গিগ এ সামান্য ইম্প্রেশন ছাড়া আর কিছুই আসে যায় না। বরং অনেক ইম্প্রেশন এর পরে, সেল না আসলে হতাশ লাগে। কারন,মানুষ ন্যচারালি অথার বা এক্সপার্টদের পছন্দ করে। মোটিভেটর বা সেলারদের কেউ পছন্দ করে না। আপনি যখন লিংক শেয়ার দিচ্ছেন তখন আপনি হকার হিসাবে সেল করার ট্রাই করছেন আর যখন ফোরাম এ লিংক দিচ্ছেন তখন করপোরেট সেলার হচ্ছেন। তখন যদি গিগ পটেনশিয়াল ক্লায়েন্ট এর সামনে যায়, তাও সেল আসবে না। ততক্ষন পর্যন্ত সেল আসবে না প্রমোশন থেকে, যতক্ষন না আপনি সেলার থেকে অথার না হতে পারবেন। রিসোর্স বানান, অন্যদের সহায়তা করুন। দেখবেন মানুষ আপনার কাছে জানতে চাইবে, অনলাইন এ মেসেজ দিবে। তখন সেল পাবেন। ১০০ যায়গা লিঙ্ক শেয়ার করে ১টা সেল থেকে, ১০ যায়গা লিঙ্ক দিয়ে ৫টা সেল কি ভালো নয়?
টিপস নাম্বার ৫ঃ
দ্রুত ডেলিভারি দিনঃ যে কোন অর্ডার পেলে সাথে সাথে করে জমা দিয়ে দিন। শেষ দিনের অপেক্ষায় থাকবেন না। বায়ার এর এন্ড থেকে চিন্তা করুন, কাজ দ্রুত পেলে কেমন লাগবে! আর কাজ যথা সময়ে না পেলে কি বিপদে পড়তে পারেন। তাহলে বুঝে যাবেন সব কিছু। আর, যখন বায়ার খুশি থাকবে, ভালো রেটিং এবং রিভিউ পাবেন যেটা আপনার প্রফাইল কে অনেক খানি এগিয়ে নিবে।
এগিয়ে নিবে।
টিপস নাম্বার ৬ঃ
ক্যান্সেলিং এ সতর্ক হনঃ আমরা অনেক সময় বায়ার এর সাথে ঝামেলা করি ক্যান্সেল করার জন্য। ফ্রিল্যান্সিং করতে আসলে আপনার খারাপ সময় আসবেই কিন্তু আপনাকে হ্যান্ডেল করা লাগবে। এক্সসেপ্ট করা লাগবে। তাই, ক্যান্সেল রিকোয়সেট আসলে দ্রুত ক্যান্সেল করে দিন। সময় নষ্ট না করে, বরং কাজ শেষে বা ক্যান্সেল হয়ে গেলে, নিজে বায়ার কে গ্রিটিংস মেসেজ দিয়ে নোটিফাই করুন। এতে করে, সেই বায়ার কাজ না দিলেও, আপনাকে রেফার করবে তার পরিচিত মানুষের কাছে যেটা আপনি যানবেন ই না।
সব শেষে একটা কথা, ফাইভার হোক বা অন্য কোন মার্কেট হোক, ভালো সার্ভিস এর বিকল্প নাই। এখানে শুরুতে একটু ধৈর্য ধরে চেষ্টা করে যেতে হবে আর ভালো কোয়ালিটি দিতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এ ট্যাবলেট জাতীয় কিছু নেই যে খেয়ে সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সার হয়ে যাবেন। কাজ করতে করতে অভিজ্ঞ হবেন, নিজের স্ট্র্যাটেজি ডেভেলপ হবে।
Great post
উত্তরমুছুন